কার্ল বা কোকড়া চুলের ফ্যাশন ট্রেন্ড প্রায় অনেকেরই পছন্দ। কনের সাজ থেকে শুরু করে যে কোনো পার্টি, অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মুভি দেখতে যাওয়া কিংবা শপিংয়ে যেতেও চুল কার্ল করছেন অনেক নারীই। যেন কার্ল চুলে আসক্ত সব নারীই!
এজন্য কেউ কেউ পার্লারে গিয়ে করছেন পার্মানেন্ট হেয়ার কার্ল, আবার অনেকেই সাধ্য অনুযায়ী কিনছেন হেয়ার কার্লার। যা ব্যবহার করে মুহূর্তেই কার্ল চুল পাওয়া সম্ভব। তবে চুলের ক্ষতি তো ঠেকানো যাবে না।
কারণ হেয়ার কার্লার ব্যবহার করে চুলে তাপ প্রয়োগ করা হয়। আর সে কারণেই মুহূর্তেই কোকড়া চুল পাওয়া যায়। তবে নিয়মিত কার্লার ব্যবহারের মাধ্যমে চুল কার্ল করা ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায় ও চুল পড়ার সমস্যাও বাড়তে পারে।
তাহলে উপায়? চাইলে কিন্তু আপনি হেয়ার কার্লার ছাড়াও চুল কার্ল করতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক হিট না দিয়েই কীভাবে চুল কার্ল করবেন-
প্রথম পদ্ধতি,
প্রথমে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। চুল ৭০ শতাংশ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর চুল দু’ভাগ করে উভয়পাশেই কয়েকটি ছোট ছোট বেনী করুন।
খেয়াল রাখবেন যেন বেনী টানটান হয়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে রাতে বেনী করুন। এরপর সারারাত এভাবেই রেখে দিন চুল। আর যদি হঠাৎ করেই কার্ল করতে হয় তাহলে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা চুল বেনী করা অবস্থায় রাখুন।
এরপর খুব আলতো হাতে বেনীগুলো খুলুন। তবে চুল আচড়াবেন না। হাত দিয়ে বেনী খোলার পর তা সেট করে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করুন।
দ্বিতীয় পদ্ধতি,
প্রথমে ভলিউমাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর চুল দু’ভাগ করুন ও দুপাশেই উঁচু করে বেনী করে নিন। এরপর বেনী পেঁচিয়ে খোঁপার মতো করে বেঁধে রাখুন বেশ কয়েক ঘণ্টা।
এরপর চুল খুব সাবধানে আলতো হাতে খুলে নিন। হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে চুল সেট করে নিন। দেখবেন চুল কতটা সুন্দরভাবে কার্ল হয়ে গিয়েছে।
অযথা চুলে তাপ প্রয়োগ করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হয়, যা পুষিয়ে নেওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। তাই চুল কার্ল করতে চাইলে প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করুন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।